বিরল রোগে আক্রান্ত আমেরিকার মিসৌরির বাসিন্দা ট্রেস জনসন। আর যার দরুন তার মাথা একটা থাকলেও তার মুখ দুটো। জনসন যেই রোগে আক্রান্ত সেই রোগটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ক্র্যানিয়োফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন বা ডাইপ্রোসোপাস
জন্মের পর থেকে জনসনের মধ্যে এ রোগের উপস্থিতি দেখে চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন জনসন আর বাঁচবেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের এ ভবিষ্যবাণী ভুল প্রমানিত করে দিয়ে সম্প্রতি জনসন তার ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করেছেন।
একটি মাথায় দুটো মুখ দেখে সেই সময় জনসনের সার্জারি করার বিষয়ে আমোদ দেননি চিকিৎসকরা। এমনকি জনসনকে বাঁচিয়ে রাখতেও চাননি তাঁরা। তাই জনসনের বাবা-মা চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জনসনকে তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর বাড়িতেই চলতে থাকে জনসনের চিকিৎসা।
সংবাদ মাধ্যমকে জনসনের মা-বাবা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে জনসন বড় হয়ে উঠলেও তার মানসিক বিকাশ ঘটেনি। বয়স ১৮ বছর হয়ে গেলেও এখনও শিশুদের মতো আচরণ করে জনসন। তবে যত দিন যাচ্ছে তত তাদের ছেলে ভাল হয়ে উঠছে বলে জানায় জনসনের মা-বাবা।
জানা গেছে, জনসনের একটি মাথায় দুটি মুখ। এছাড়াও নাকের মাঝ বরাবর একটি স্পষ্ট ফাটল চলে গিয়েছে তাঁর কপাল পর্যন্ত। এজন্য তার দু’দিকে মুখটি যেন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। এবং দু’ভাগে রয়েছে দু’টি চোখ। আর এ বিরল রোগের কারণে দিনে ৪০০ বার খিঁচুনি উঠে জনসনের। যদিও জনসনের মা-বাবার দাবি, একটি বিশেষ তেল ব্যাবহারের পরে ৪০০ থেকে খিঁচুনি ৪০ এ কমে এসেছে জনসনের।