রাজ্য সরকারের রয়েছে একটি দারুন প্রকল্প। যেই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের প্রচুর সংখ্যক মানুষ ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন প্রচুর টাকা। আবার যারা এখনো পর্যন্ত টাকা পায়নি,তাদের অ্যাকাউন্টেও খুব শীঘ্রই ঢুকতে চলেছে মোটা অঙ্কের টাকা। ভোটের আগেই রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ মানুষের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে একটি বিশেষ কারণে।
উপরের কয়েকটা লাইন পড়ে আপনিও হয়তো বিষয়টাকে পুরোপুরি ভাবে মিথ্যা ভাবতে পারেন। কিন্তু বিষয়টার মধ্যে কিন্তু এক শতাংশও মিথ্যা নেই। রাজ্য সরকার সত্যিই বেশ ভালো পরিমাণর টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টেই পাঠিয়েছে। সকলকে টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০২ কোটি টাকারও বেশি।
তবে এই টাকা যে সকলেই পাবেন তেমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। আমাদের রাজ্যের বাসিন্দা এবং পেশায় কৃষক শুধুমাত্র তারাই সরকারের কাছ থেকে এই টাকা পাবেন। তবে এই টাকা পাওয়ার জন্যেও কিছু শর্ত রয়েছে। সরকারের কাছ থেকে এই টাকা পাওয়ার জন্য- প্রথমত সেই কৃষকের নাম বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত : সেই কৃষকের ফসল প্রাকৃতিক বা বন্যপ্রাণীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তবেই এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে।
আসলে রাজ্যের কৃষকের সুবিধার জন্য আমাদের ২০১৯ সালে রাজ্যে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এবার যেসব কৃষকের নাম এই প্রকল্পে রয়েছে, তাদের ফসল যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে এই বীমার দ্বারা তারা ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন। রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২০২৩ এর অক্টোবর পর্যন্ত অনেকেই টাকা পেয়ে গেছেন। আর যারা টাকা পাননি তারাও খুব শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন।