সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে ২০০০ টাকার নোট। বাতিল নোট আগামী সেপ্টেম্বরের (September) মধ্যে ব্যাংকে গিয়ে বদলে আনতে হবে। তবে শুধু ২০০০ টাকার নোট নয়, ২০১৬ সালেও করা হয়েছিল নোট বন্দি, তখন বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন ২০১৬ সালে প্রথম যখন নোট বাতিল করা হয়েছিল এরপর ২০২৩ সালে নতুন ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হলো, এসব বাতিল নোট গুলো দিয়ে কি করা হয়? আজ এই প্রতিবেদনে আমরা এই অজানা তথ্যই তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত ১ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে এবং দ্বিতীয় নম্বরে অবস্থান করছে চীন (China)। এমতাবস্থায় ভারত যেহেতু জনসংখ্যার দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পুরো বিশ্বের মধ্যে সেহেতু ভারতের নোট বাতিল করা চারটি খানি কথা নয়, ভারতের জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নোট ছাপানোর কাজ করে থাকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। তাই কোন নোট বাজারে ছাড়ার পর তা তোলার কাজ শুরু হলে RBI- এর কাছে প্রচুর নোট জমা পড়ে। RBI সেই বাতিল নোট গুলো প্রথমে ছোট ছোট টুকরা করে ফেলে, এরজন্য RBI এর কাছে সারা দেশে ২৯টি অফিসে মোট ২৭টি ক্লিপিং মেশিন রয়েছে যা দিয়ে নোট টুকরো টুকরো করা হয়। নোট টুকরোতে পরিনত হয়ে গেলে এরপর টুকরো নোট গুলো দিয়ে কার্ডবোর্ড তৈরি করা হয়।
টুকরো নোটের কার্ডবোর্ড বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা হয়। যেমন, ফাইল, ক্যালেন্ডার তৈরিতে ইত্যাদি। শুধু তাই নয় টুকরো নোটের কার্ডবোর্ড ছাড়াও, পেনের বাক্স, প্লাস্টিকের চায়ের ভাড়, এবং ছোট ছোট প্লাস্টিকের কাপ তৈরি করা হয়।