রাজ্যের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sath Card)। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার প্রাথমিকভাবে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এটা একটা অত্যন্ত সুবিধাজনক এক প্রকল্প। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এক নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু হটাৎ করে আবার কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো এই কার্ড নিয়ে? জেনে নিন বিস্তারিত।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে রাজ্য সরকার দেড় লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা এবং সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ হিসাবে দিয়ে থাকে। যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে, তারা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি উভয়ই হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা পান। মোটামুটি ভাবে এমনটাও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেকের কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও, যখন কোনো সমস্যা নিয়ে হসপিটালে যাওয়া হয়, তখন অনেক হসপিটালই নানা টালবাহানা করতে থাকে।
অনেকদিন থেকে এই ধরনের ঘটনা নজরে আসছিল সবার। বিভিন্ন বেসরকারি হসপিটাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও তারা এই কার্ডের সুবিধা দিতে অস্বীকার করতো। তাই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত বেসরকারি হসপিটালের জন্য নিয়েছেন এক কড়া পদক্ষেপ। এবার কলকাতার 4 টি বেসরকারি হাসপাতাল সহ অন্যান্য ১৪২টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন সেই সমস্ত হসপিটালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না, ঠিক সেরকমই সেই হসপিটালগুলোও আবার এই প্রকল্প থেকে কোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না।