নির্বাচনের পরেই রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করবে সরকার। আর এক হাজার বা দু হাজার টাকা নয়! বরং চার হাজার টাকারও বেশি পাবেন রাজ্যের মহিলারা। কিন্তু কোন সরকার আর কবে থেকেই বা দিতে চলেছে এত পরিমাণ আর্থিক সাহায্য? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।
আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়ায়, রাজ্যের মহিলাদের সুবিধাই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। রাজ্যের মেয়েদের এবং মহিলাদের সাহায্য করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকল্যাণকারী প্রকল্প সামনে এনেছেন। তার মধ্যে আমরা রূপশ্রী, কন্যাশ্রী এবং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করতে পারি। এই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের প্রত্যক্ষভাবে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করেছেন।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের রাজ্যের মহিলাদের যেমন ৫০০ এবং ১,০০০ টাকা দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করেন,সেটা অবশ্যই রাজ্যের মহিলাদের জন্য লাভ দায়ক। রাজ্যের মহিলারা লক্ষীভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে এরূপ আর্থিক সাহায্য পেয়ে লাভবান হচ্ছে বলেই অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রকল্পের প্রভাব পড়ছে। তাই অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রকল্পের মতো প্রকল্প চালু করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মতো এক প্রকল্প চালু করার কথা বলেছেন। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার এক গ্রামে এক সভায় তিনি মহিলাদের নিয়ে কথা বলেন। তার মতে, তেলেঙ্গানার আজকের আগের মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোটালা করেছিলেন সেই ঘোটালায় নাকি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মহিলারা। তাই এখন যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে মহিলাদের উন্নতি।
রাহুল গান্ধী বলেন যে এবার যদি তিনি ক্ষমতায় আসেন তাহলে তিনি মহিলাদের জন্য যা করবেন তা হলো, ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাজ্যের প্রতিটি মহিলার অ্যাকাউন্টে ২,৫০০ টাকা করে সবার প্রথমেই পাঠাবেন। এরপর গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বর্তমানে ১০০০ টাকা,সেই গ্যাস সিলিন্ডার তিনি দেবেন মাত্র ৫০০ টাকায়। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা হিসাবে, সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াতের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এইভাবে প্রতিটি মহিলাই তাঁর সরকারের কাছ থেকে ৪,৫০০ টাকা করে পাবেন।