গত ১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার আবারও বাজারে চলতি সমস্ত ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করলো। ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করার পরেই সবার মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরছে। সেটা হচ্ছে- ২০১৬ সালে যখন এইরকম নোট বন্দি হয়েছিল, তখন পুরনো টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে নতুন টাকা নেওয়ার সময় যেইরকম ঝামেলা হয়েছিল, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল- এইবারও সেরকম করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কিনা। ২০১৬ সালে নোট বদলানোর জন্য সাধারণ মানুষের হাতে একটাই পথ খোলা ছিল। আর সেটা ছিল ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক-ই টাকা বদলানোর একমাএ পথ হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত সকলকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তবে এবারও কী একইভাবে টাকা বদলাতে হবে? নাকি কোনো ঝামেলা ছাড়াই টাকা বদলানো যাবে? জানতে বিস্তারিত পড়তে থাকুন।।
ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে যে, যাদের কাছে পুরোনো ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তারা এখনই টাকা বদলাতে পারবেন না। আগামী ২৩ মে থেকে সকল ব্যাঙ্কে টাকা বদলানোর কাজ শুরু হবে। এবং এই কাজ চলবে সেপ্টেম্বর মাস পযর্ন্ত।। এক্ষেত্রে সকলেই নিজের নিজের ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা জমা করতে পারবেন। আপনি একবারে ১০ টা করে ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারবেন। সাধারণ জনগণকে যাতে বেশি ঝামেলায় না পড়তে হয়, সেই কারণেই এই ভাবনা।। তবে আপনি যে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কেই টাকা জমা করতে পারবেন এমন টা নয়। আপনি চাইলে ব্যাঙ্কে না গিয়ে বাড়িতে বসেও টাকা জমা করতে পারবেন।।
আগামী ২৩ শে মে তারিখ থেকে আপনি চাইলে ব্যাঙ্কে না গিয়েও (Business Correspondents)- এর মাধ্যমে নিজের পুরোনো নোট জমা করতে পারেন।। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্যাঙ্কিং পরিসেবার প্রসার ঘটানোর জন্য বিজনেস করেস্পোন্ডেন্টস-কে অনুমতি দিয়েছে। তাই যদি আপনি ব্যাঙ্ক যেতে না চান, তাহলে বিজনেস করেস্পোন্ডেন্টসের কোনো সেন্টারে গিয়েও নোট বদলাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি একবারে ২০০০ টাকা দুটি নোট জমা করতে পারবেন।