যদি আপনার হাতে কিছু জমানো টাকা থাকে এবং আপনি সেই জমানো টাকা দিয়ে একটা এমন ধরনের ব্যবসা করতে চান, যেই ব্যবসায় কম্পিটিশন খুবই কম থাকবে কিন্তু লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হবে, তাহলে আপনি আমাদের আজকের এই নতুন স্মল বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে পড়ে দেখুন। আজকে আমরা আপনাদের এমন একটি বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে বলবো,যেখান বাজারে কম্পিটিশন খুবই কম থাকবে এবং সেই সঙ্গে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। আজকের এই যে বিজনেস প্ল্যান রয়েছে, এই ব্যবসা এখনকার দিনে ভারতে খুবই কম রয়েছে। কিন্তু এর চাহিদা খুবই বেশি। তাই বর্তমানে যদি কেউ এই ব্যবসা শুরু করে,তাহলে সে নিশ্চিত লাভবান হবেন। তো কী সেই বিজনেস আইডিয়া, জানতে পড়তে থাকুক।
Driving School Business Plan: ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবসার কথা পড়েই হয়তো আপনি ভাবছেন এই কাজ আপনার জন্য নয়। কিন্তু এই ব্যবসা সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক ধারণা চলে আসে, তাহলে আপনার মাথা থেকে এই চিন্তা চলে যাবে।। বতর্মান বাইক চালানো, ট্যাক্সি, ক্যাব বা অন্যান্য ধরনের গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং স্কুল রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে একটি ভালো ড্রাইভিং কোর্সের মূল্য ৩,০০০ থেকে ৪০০০ টাকা হয়ে থাকে. এখন আপনি যদি চান তাহলে আপনার কোর্স এর থেকে বেশি বা কম টাকাতেও দিতে পারেন। যাতে আপনি এবং যারা আপনার কোর্সে ভর্তি হবে- উভয়ই লাভবান হতে পারে।।
ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবসা থেকে কি রকম কামাই হতে পারে?
অন্যান্য রাজ্যে একটি ড্রাইভিং কোর্সের মূল্য সাধারণত ৩,০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে হয়। এখন আপনি আপনার কোর্সের মূল্য রাখলেন দুই হাজার টাকা। এই কোর্স মূল্যে আপনার স্কুলে ৩০ জন শিক্ষার্থী আপনার ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হলো।। তাহলে সোজা হিসাব হয় যে, একটি কোর্স থেকেই আপনার মাসিক ইনকাম থাকবে ৬০ হাজার টাকা। তাছাড়াও আপনার মাসিক রোজগার অবশ্যই নির্ভর করবে আপনার ড্রাইভিং স্কুল কত বড়ো তার ওপর। আপনার ড্রাইভিং স্কুলের কোন কোন কোর্স রয়েছে অর্থাৎ কি কি ধরনের ড্রাইভিং শেখানো হয় তার ওপর। আপনার স্কুলে যদি একইসঙ্গে বাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, ট্রাক ইত্যাদি কোর্স থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার রোজগার অনেকটাই বেশি হবে।
কিভাবে ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবসা শুরু করবেন?
ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার যেমন।
• এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন।
• আপনার নিজস্ব ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।
• পরিবহন বিভাগে আপনার ড্রাইভিং স্কুলের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। স্কুলের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন ফর্ম পেয়ে যাবেন।
উপরিক্ত বিষয় থাকার পর আপনি চাইলে, নিজস্ব গাড়ি দিয়ে যদি আপনার থাকে অথবা যদি আপনার নিজস্ব কোন বাইরে থাকে তাহলে আপনি খুবই কম টাকায় সেকেন্ড হ্যান্ড কোনো গাড়ি কিনে তা থেকে নিজের ড্রাইভিং স্কুল শুরু করতে পারেন। ব্যবসা শুরু করার পর, আপনার স্কুলে যাতে অনেকে ভর্তি হয় তার জন্য নিজের আশেপাশের এলাকায় বিভিন্নভাবে তার প্রচার করতে পারেন।। এবং এইভাবেই আপনার নিজস্ব ড্রাইভিং স্কুল থেকে একটা ভালো মানের মাসিক রোজগার পেতে পারেন।