#নিউজ ডেস্কঃ সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে পরিচিত ভ্যাটিকেন সিটি। কিন্তু তার থেকেও ছোট দেশ হল প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড (Principality of Sealand)। যার আয়তন ৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এবং জনসংখ্যা মাত্র ২৬ জন। শুধু তাই নয়, ভ্যাটিকেন সিটি বাসিন্দাদের যেমন নিজস্ব মুদ্রা এবং নিজস্ব পাসপোর্ট (passport) রয়েছে, এদেশেও ঠিক তাই রয়েছে। তবে ভ্যাটিকেন সিটিকে যেমন দেশ হিসেবে মান্যতা দেয়নি বিশ্বের কোন দেশ। ঠিক তেমনি প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ডকেও দেশ হিসেবে মান্যতা দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বাকি দেশগুলো।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর মহাসাগরে ব্রিটেনের জলসীমায় সাফোক (Suffolk) উপকূলে অবস্থিত পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এ দেশটি। ৫১ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের এক সিদ্ধান্তের উপর বিদ্রোহ ঘোষনা করে নিজেদের আলাদা দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন লিওনার্দ ক্যাসলে (Leonard Castle) নামে এক ব্যক্তি। আর তখন থেকেই এ ভুখন্ডের মালিকানাধীন তিনি।
রিপোর্ট বলছে, নিজেদের আলাদা দেশ হিসেবে ঘোষণা করার পর বছরে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর গম উৎপাদন হত প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ডে। কিন্তু নিজেদের তাঁরা আলাদা দেশ হিসেবে ভাবলেও দেশটির পুরোভাগ নিয়ন্ত্রণে ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের। ফলে প্রশাসনের নির্দেশে হাজার হেক্টর জমির ফসল নয়, মাত্র ৯৯ একর জমিতে যে ফসল ফলত তাই বিক্রি করতে পারতেন তাঁরা।
রিপোর্ট বলছে, দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ২৬ জন। তাই এ ভূখন্ডকে দেশ হিসেবে মানতে নারাজ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন দেশ সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলো। তাই দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ১৯৭০ সালে ২১ এপ্রিল দেশটির প্রতিষ্ঠা দিবসে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে (Elizabeth II) আমন্ত্রণ জানান তাঁরা। তবে দেশ হিসেবে প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড স্বীকৃতি না পেলেও এদেশের রয়েছে নিজস্ব পাসপোর্ট, মুদ্রা এবং ভিসার ব্যবস্থা। যাতে করে অস্ট্রেলির ছায়ায় বাইরের দেশ গুলোতে নিজেদের ফসল রপ্তানি করতে পারেন তাঁরা।